বাংলার শাড়ীর সম্ভার
কলমে : অরিন্দম বন্দোপাধ্যায়
বাংলার তাঁত ও রেশম শাড়ীর সম্ভার যেমন ঐতিহ্যবাহী আবার তেমনি বৈচিত্রপূর্ণ l বহু যুগ ধরে বাংলার নানান অঞ্চলের অনুপম সৃষ্টি সব শাড়ি, শুধু ভারত কেন গোটা বিশ্বের নারীদের হৃদয় জয় করে এসেছে l বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি অঞ্চল সু নিপুন শাড়ি বয়নের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত l ভারতীয় উপমহাদেশে গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য শাড়ী সবচেয়ে আরামদায়ক বলে বিবেচিত হয়।বাংলাদেশের ঢাকা, টাঙ্গাইল , নারায়ণগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া , হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং বিষ্ণুপুর শাড়ী জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য ।
পশ্চিমবঙ্গের মালদা,মুর্শিদাবাদ এবং বিষ্ণুপুর যেমন রেশমের জন্য বিখ্যাত তেমনই শান্তিপুর, ফুলিয়া, শিবাই চন্ডী এবং ধনেখালি সুতির শাড়ীর জন্য।
মালদা মুর্শিদাবাদ অঞ্চল তসর এবং সিল্ক দুইয়ের জন্য জগৎ খ্যাত। বাঁকুড়ার সিল্ক ও কোনো অংশে কম যায় না। জগৎ খ্যাত মসলিনের জন্ম বাংলাদেশের ঢাকা বিক্রমপুরে। দেশভাগের পর অনেক তাঁতি পশ্চিমবঙ্গে এসে নদিয়া জেলার ফুলিয়ায় বসবাস শুরু করেন আর সঙ্গে নিয়ে আসেন তাঁদের শিল্প।
হুগলীর ধনেখালি শাড়ি, নদীয়ার বেগমপুরী, ফুলিয়ার টাঙ্গাইল ও জামদানী, বীরভূমের খেশ এবং বাঁকুড়ার বালুচরী প্রত্যেকে নিজেদের বৈশিষ্ঠে অনন্য এবং অসাধারণ।
প্রতিবেদন শেষ করার আগে একান্ত অনুরোধ সবাইকে – বাংলার এইসব গৌরবময় শাড়ী সম্ভার যেন আগামী প্রজন্ম পরেন এবং তার জয়যাত্রা অব্যহত থাকে। বাংলার ডিজাইনার শিল্পীরা যেন বাংলার হ্যান্ডলুম কে বেশী করে তুলে ধরেন তাঁদের সৃজনে। বাংলার তাঁত শিল্প আর তাঁত শিল্পীদের ভালোবেসে পাশে থাকাটা আমাদের সকলের কর্তব্য।
বাগীশা ডিজাইনার ষ্টুডিও
কলিকাতা