Trivia

ত্রিরূপী আদিশক্তি মহামায়া

কলমে : শুভেচ্ছা দত্ত

মহামায়াকে আশ্বিনে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে পুজো করা হয় বাংলায়। দেবলোক এবং অসুরলোকের ভয়ানক যুদ্ধের অন্ত হিসেবে মহামায়া আবির্ভূতা হন অসুরদলনী, দূর্গতি-সংহারী রূপে। প্রতিবছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে মাকে পুজো করা হয় অশুভের নাশ করে শুভকালের প্রতিষ্ঠার আশায়। ইনিই আবার বাংলায় পূজিত হন উমা নামে, যিনি পরিবারের ধাত্রীর প্রতীক। 

দেবীর আরেক বহুল প্রচলিত রূপ দেবী কালী বা কালিকা। আবার তিনিই ভবতারিণী, আদ্যাশক্তি, ব্রহ্মময়ী, শ্যামা। সৃষ্টি, পরিবর্তন, স্থিতি ও ধ্বংস- এই চার সত্যের আধারে পূজিতা হন এই দেবী। বছরের বিভিন্ন সময়ে দেবীর আরাধনা করা হলেও শারদীয়া দূর্গাপূজার পরে কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে বঙ্গদেশে দেবীর পূজা বিশেষভাবে সমাদৃত। 

আবার এই মহামায়াই আবির্ভাব হন রণচন্ডী রূপে দেবী ছিন্নমস্তা রূপে। মহাবিদ্যার অংশ দেবী ছিন্নমস্তা মাতৃরূপের ভয়ংকরী অংশ। তান্ত্রিক ও বৌদ্ধধর্মে বিশেষভাবে উল্লিখিত এই মাতৃরূপ একাধারে ধ্বংস এবং সৃষ্টির প্রতীক। একক দেবী হিসেবে এই রূপের পুজোর প্রচলন খুব একটা নেই, তবে দশমহাবিদ্যা শক্তির আরাধনায় এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে দেবী ছিন্নমস্তার। বিভিন্ন সময়ে তার ভয়ংকর রূপের নানান ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।